২০১৮ সালে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছিলেন সজীব। সাইফ হাসানের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ছিলেন যুব এশিয়া কাপের স্কোয়াডে। তবে বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা হারান সজীব। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছিল তাকে।
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দেন সজীব। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেছেন উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। এরপর ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ঢাকার পাঠ চুকিয়ে নিজ এলাকা রাজশাহীতে ক্রিকেট চালিয়ে যান। সেখানে শনিবার গভীর রাতে নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু এনাম মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘সজীব আসলে আমাদের ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ ব্যাচের ক্রিকেটার ছিল। সাইফ, আফিফ এদের সাথে খেলেছে। সে আমাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে স্ট্যান্ডবাই ছিল। শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচ খেলছে। এশিয়া কাপেও ছিল। এটা খুবই দুঃখজনক। শোনার পর খুব খারাপ লাগছে।’
শোনা যাচ্ছে আসন্ন পাঁচ দলীয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সুযোগ না পাওয়ার হতাশায় এই পথে হেঁটেছেন সজীব। তবে এমনটা অবশ্য মনে করছেন না কায়সার। বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার জানান, এই টুর্নামেন্টের খেলোয়াড় ড্রাফটেই নাম ছিল না সজীবের। সেখানে তার সুযোগ না পাওয়া অনুমেয় ব্যাপার ছিল।
কায়সার বলেন, ‘দেখেন হতাশা কিনা এটা তো আসলে বলা মুশকিল। কারণ, সে কয়েক বছর ধরে সেভাবে খেলার মধ্যে ছিল না বলা যায়। অনেকটা রাজশাহী কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল সে। ঢাকাতে ফার্স্ট ডিভিশন, প্রিমিয়ার লিগে যতটুকু খেলেছে।’
‘সে তো আসলে আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ড্রাফটেও ছিল না। তো হতাশ হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না। সে কিন্তু গত পরশুদিনও রাজশাহীতে একটা ম্যাচ খেলেছে। কেন এমনটা করলো আমরা এখনো সঠিকভাবে বলতে পারছি না। যেটা হয়েছে এটা আসলেই দুঃখজনক।’
(bdcrictime)