২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে রংপুরের হাজারো মুক্তিকামী জনতা লাঠি, বল্লম, তীর-ধনুক, ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করেছিলেন।
ওই সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে প্রায় এক হাজার মুক্তিকামী জনতা শহীদ হন।
ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচির খবর ছড়িয়ে পড়লে, একাত্তরের এই দিনে সকাল থেকেই রংপুর সদরসহ, মিঠাপুকুর, বলদিপুকুর, শ্যামপুর, পালিচড়া, বদরগঞ্জ, তামপাট, বুড়িরহাট হারাগাছ, পাগলাপীর, তারাগঞ্জসহ রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ জড়ো হদে থাকে।
সাঁওতাল উপজাতীয় নেতাদের নেতৃত্বে এই অঞ্চলের মানুষ ক্যান্টমেন্টের দিকে এগুতে থাকে। এসময় পাক হানাদাররা গুলি চালালে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রায় এক হাজার বীরসেনা।
পরে ওইদিন রাতেই পাক সেনারা লাশগুলো পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়। সেইসব বীর শহীদদের স্মরণে ২০০০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নিসবেতগঞ্জ এলাকায় ‘রক্ত গৌরব’ নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।