হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিয়েছে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ভক্তসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।স্থানীয় একজন সাংবাদিক সুমন গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন জানাজার পর আহমদ শফীর অন্তিম ইচ্ছে অনুযায়ী মাদ্রাসার কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হয়েছে।
জানাজায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরেকজন স্থানীয় সাংবাদিক আবু তালেব বিবিসি বাংলাকে জানান যে প্রায় এক দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লোকজন দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নিয়েছে।
জানাজা পড়িয়েছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ।
জানাজায় হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীও বক্তব্যও দিয়েছেন।জানাজা ও দাফন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ ও র্যাব ছাড়া মোট দশ প্লাটুন বিজিবি হাটহাজারী সহ চট্টগ্রামের চার উপজেলায় মোতায়েন করা হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন।এরআগে সকালে আহমদ শফীর মৃতদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পৌঁছানোর আগেই সেখানকার জানাজায় যোগ দিতে অনুসারীদের ঢল নেমেছে।
অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।অতিমাত্রায় ভিড় তৈরি হওয়ার কারণে হাটহাজারী এলাকায় সড়কপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।এলাকাটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের উপরে অবস্থিত হওয়ায় এই সড়কপথে জেলাদুটির মধ্যেকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সকাল নটা নাগাদ আহমদ শফীর মৃতদেহ সকাল হাটহাজারীতে পৌঁছায়।