বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত শুরু করেন সারা দেশের নেতাকর্মীরা। দুপুর নাগাদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিপুল উপস্থিতি সম্মেলন স্থলকে পরিণত করেছে উৎসবের ময়দানে।
শনিবার সকাল দশটায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগেই বিভিন্ন জেলা ইউনিট, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন সোরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সকাল নয়টায় নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার আওতাধীন দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি বিশাল মিছিল উদ্যানে প্রবেশ করে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার।
দাউদপুর ইউনিয়নের মিছিলে অংশ নেন ৬২ বছর বয়সী মো. ইসমাইল। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘সাতাশি সাল থেকে আমি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আসি। আওয়ামী লীগ করতে আমার কোনোদিন কোনো পদ-পদবী লাগে নাই। আল্লাহ আরো হায়াত দিলে ভবিষ্যতেও আমি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিব। ‘
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে ভোলা, লক্ষীপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল সমেত সম্মেলনে যোগ দেন। বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো ইউসুফ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল রাতেই আমরা ঢাকায় পৌঁছেছিলাম। ভোর হতেই আমাদের নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থলে প্রবেশের জন্য উদগ্রীব ছিল, সম্মেলন ঘিরে তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ‘
সম্মেলন শুরুর আগেই ঢাকা ও এর আশেপাশের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বড় বড় মিছিল সমেত যোগদেয় সোরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলন স্থলে। রাজধানীর লালবাগ থেকে মিছিল সমেত সম্মেলনে যোগদেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে সোরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। সন্মেলনস্থলের প্রবেশ দ্বারগুলোতে কয়েক ধাপের নিরাপত্তা তল্লাশিসহ সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।