রংপুরের বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদারকে ভুয়া মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ময়নুল হক নামের এক কৃষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে অর্থ আত্মসাত করায় তাকে বদলী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য্ তাকে বদরগঞ্জ থানা থেকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।
বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের শালবাড়ি খিয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক ময়নুল হক পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে ভুয়া মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছর ১৪ এপ্রিল পাঠানের হাট এলাকার রাস্তা থেকে ওই কৃষকের একটি মাটি ভর্তি ট্রলি বদরগঞ্জ থানার এসআই হাবিব আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
২৭ দিন পর তাকে জানানো হয়, মোবাইল কোর্টে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১ মে ওসির কাছে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে তিনি ট্রলিটি ফেরত নেন। কিন্তু কোন রশিদ না দেয়ায় সন্দেহ হওয়ায় ইউএনও অফিসে খোঁজ নিয়ে ওই কৃষক জানতে পারেন তার নামে মোবাইল কোর্টে কোন মামলা হয়নি। অনুসন্ধানেও দেখা যায়, ঘটনা সত্য।
মূলত গত ১ মে তারিখে বদরগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বদরগঞ্জ থানার মামলা নম্বর ৫০/২০২০ এর অধীনে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের মাগুড়া এলাকা থেকে ভেজাল মধু বিক্রি করতে আসা আব্দুস সালাম নামের এক ব্যক্তিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বদরগঞ্জ থানার জিডির ফাইলে দেখা যায় ১০ই মে ওসি কৃষক ময়নুল হাকের নামে একটি জিডি করেন, যেখানে মামলা নং এর জায়গা ফাঁকা দেখা যায় এবং বলা হয় বালু ব্যবস্থাপনা আইনের ধারায় ওই কৃষকের ট্রলির জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট।