ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে। ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভুইয়া জানান, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেন ওই ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ৮০-৯০ জন বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে বরিশালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় সেখানে দগ্ধ রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা, বিষখালী ও গাবখান নদীর মোহনা থেকে বিষখালী নদী হয়ে বরগুনা যাবার পথে রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইনঞ্জনরুম থেকে আগুন লাগে। ইতিমধ্যে ৪০ জনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দগ্ধদের দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলো পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর দগ্ধদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চটি বর্তমানে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকুল (সুগন্ধা নদীর তীরে) নোঙর করেছে।