বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বলিভদ্রপুর মাঠের ধানক্ষেতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার সকাল ১০টায় বলিভদ্রপুর ধানক্ষেত থেকে রিকশা-ভ্যানচালক হাছেন বাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ভ্যানচালক হাছেন বাবু উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।
ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান মাহমুদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা ভ্যানচালক হাছেন বাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহত হাছেন বাবুর শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
হাছেন বাবুর বোন রশিদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বের হওয়ার পর, আর বাড়ি ফেরেনি। পরের দিন শুক্রবার সকালে তারা লোকমুখে খবর পেয়েছেন তাকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করেছে।’
চাচা রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বড় ভাই আবদুর রশিদের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে হাছেন বাবু মেজো। হাছেন বাবুর বড় ভাই ইয়ানুর গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, মেয়েটি স্বামীর ঘর ছেড়ে এখন বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিল হাছেন বাবু।
ফুলবাড়ী থানার ওসি ফখরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে, দৌলতপুর ইউনিয়নের বলিভদ্রপুর এলাকার ধানক্ষেত থেকে হাছেন বাবু নামে এক ভ্যান চালকের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।h