শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদ দেশে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও নারীর প্রতি সহিংসতার স্থায়ী অবসানের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতা-কমীদের এই নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, “আজকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আজকে ধর্ষকদের কারা উসকে দেয়, এটা ভাববার বিষয়। কিছু হলেই ছাত্রলীগকে কলুষিত করা হয়। আপনারা সচেতন থাকবেন, কেউ যাতে ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে অন্যায় কাজ করতে না পারে। আপনারা সোচ্চার থাকবেন, যেখানেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে কেউ তাদেরকে আপনারা কঠোর হস্তে দমন করবেন।
“আপনারা বলেন ছাত্রলীগ কেন অস্ত্র তুলে নেয়? ১৯৭১ সালে কিন্তু ছাত্রলীগ অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। এখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, আর আমরা বসে থাকব? কখনোই না। আমরা সারা দেশে নেতা-কর্মীদের বলে দিতে চাই, যেখানেই ওই শিবির গংদের পাবেন, যেখানেই ধর্ষকদের পাবেন সেখানেই গণধোলাই দেবেন। বাংলাদেশে কোনো পাকিস্তানি এজেন্টদের স্থান নাই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ধর্ষণ মামলার আসামি ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয় নেতাকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, “আজকে ১৮ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ঘুরছে। বিচারের জন্য তাকে শেষ পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিতে হয়েছে।
“কিন্তু সেই ধর্ষণের মাস্টারমাইন্ডসহ আসামিদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয় নাই। তাহলে আমরা কি ধরে নেব, তারা অনেক পাওয়ারফুল? কখনোই না। আজকে ধিক্কার জানাই নুরু গংদের প্রতি। যারা আমার বোনকে ফেইসবুক লাইভে এসে পতিতা প্রমাণের হুমকি দিয়েছে। আমরা আশা করি, অবিলম্বে আমাদের পুলিশ প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করবে।”
শাহবাগে যারা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন করছেন, তাদের সমালোচনা করে জয় বলেন, “শাহবাগে যারা আন্দোলন করছে তাদের ৫০ জন লোকও নাই। তারা সেখানে নাচে, গান গায়। ফেইসবুকে দেখলাম তাদের প্রোগ্রামেই অশালীনভাবে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেছে। তারা একটা শব্দ শুনলেই পাঁচজন নিয়ে মিছিল বের করে ফেলে। কিন্তু কই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমার বোনটার জন্য তো তারা কোনো মিছিল নিয়ে নামল না!
“আজকে ছাত্র ইউনিয়ন নামসর্বস্ব কিছু লোকজন নিয়ে শাহবাগে বসে আমাদের নেত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে। অথচ আজকে আমাদের নেত্রী আছে বলেই ধর্ষণের বিচার হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দাবি করেছিলাম, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী আগামী সংসদে সেই বিলটি পাস করতে যাচ্ছেন।”