বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বিশ্ববরেণ্য এই পরমানু বিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্য়ারুরী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর গ্রামের একটি সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
পুরো উপমহাদেশে প্রথম শ্রেণীর এই বিজ্ঞানী ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আনবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ইতালির খ্যাতনামা আর্ন্তজাতিক তাত্তি¡ক পদার্থ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র তাঁকে ‘এ্যাসোসিয়েটশিপ’ প্রদান করে। ১৯৬৯ সালের নবেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরে ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা করেন। ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লীস্থ ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া।
৬৭ বছর বয়সে তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানী ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পর তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ড.ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি । এসময় তার সাথে জেলা এবং পীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন । শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার বিদেহী আত্তার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া শেষে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
এছাড়াও বর্তমান করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর গ্রামে এবং রংপুর মহানগরীতে ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ (ডিডব্লিউএসএস), ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ড. ওয়াজেদ মিয়া’র পরিবার, রংপুর জেলা ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনগুলো তাঁর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফাতেহ পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।