সিলেট নগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৩) যুবক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল হারুনুর রশীদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় তাকে সিলেট মহানগর মহানগর-৩ এর হাকিম শারমিন খানম নিলা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পিবিআই সিলেট’র পুলিশ সুপার (এসপি) খালেকুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে কমিটি। এরপর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
অন্য তিনজন হলেন, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। একই সঙ্গে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন।
এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর (রোববার) দিনগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে এসএমপি’র কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম আদালতে টিটুর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমান শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত নগরের বন্দরবার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।
(সময়েল আলো)