সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রংপুর নগর শাখার উদ্যোগে শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, লাল পতাকার মিছিল শাপলা চত্ত্বর থেকে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাচারি বাজারে সমাবেশে মিলিত হয়। (৩০/০৯/২০২০) বুধবার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরা। সংহতি জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন বাসদ রংপুর জেলা আহ্বায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, জনতার রংপুরের আহ্বায়ক, অধ্যাপক ডা.সৈয়দ মামুনুর রহমান, বেরোবি সহকারী অধ্যাপক আলী রায়হান সরকার, এ ছাড়া ছাত্রফ্রন্ট বেরোবি’র সভাপতি রিনা মুরমু, নগর সহ-সভাপতি প্রহলাদ রায়,বেরোবি সাধারণ সম্পাদক পবিত্র রঞ্জন রায়,জাবি ছাত্রনেতা কনজ কান্তি রায়,বিজ্ঞান আন্দোলনের মঞ্চের সংগঠক অর্পন রহমান প্রমুখ।
কমরেড কুদ্দুস বলেন,১৯৬২ সালে শরিফ কমিশনের শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন জীবন দিয়ে।সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক,বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থার সে দাবি এখনো পূরণ হয়নি।তিনি বলেন,একটি ভবনের মাটির নীচে ভিত্তির উপর যেমন নির্ভর করে-ভবনটি কত তালা হবে,ঠিক তেমনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাটাও তাই।এই স্তরে শিক্ষার মানের উপর নির্ভর করে উচ্চ স্তরে ঐ শিক্ষার্থী কতটুকু শিখতে পারবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সরকারের অবহেলা সবচেয়ে বেশি।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন,স্বাধীনতার পরবর্তী সকল সরকারই”টাকা যার শিক্ষা তার “এই নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে।নেতৃবৃন্দ বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একই পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাচাঁতে,শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাচাঁতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত ৬ দফা দাবি পেশ করে- করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ,মেস ভাড়া মওকুফে সরকারি বরাদ্দ দাও, সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত কর, পর্যাপ্ত আয়োজন ছাড়া অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা পরিচালনা করা চলবে না।ডিভাইস ক্রয়ে ঋণ নয় ,অনুদান চাই, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেতন নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নাও, সকলের জন্য রাষ্টীয়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত কর, স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে দুনীর্তি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।