প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছরে মার্চ মাসে দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই ফেব্রুয়ারি মাস আমরা পর্যবেক্ষণ করব। পরবর্তী সময়ে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু করা হবে।’ আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নের ফলাফল ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের ফলাফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কিছু লোকের কাজ হচ্ছে শুধু সমালোচনা করা। নিজেরা কিছুই করতে পারে না। যে কাজই করা হোক না কেন, তারা শুধু সমালোচনা করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিরূপ পরিবেশে দেশের মানুষ নিমজ্জিত। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাস দুর্যোগের কারণে আমরা পালন করতে পারিনি। কারণ, দেশের মানুষকে আমি ভালোবাসি। দেশের মানুষকে বাঁচাতে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। তবে সংসদ টিভি এবং অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস চালু রাখা হয়। আমরা চেষ্টা করেছি ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার পরিবেশে নেওয়ার জন্য। কিন্তু করোনাভাইরাসে সারা বিশ্ব নিমজ্জিত। আমরা সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা নিতে পারিনি। তাই এ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করতে হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাক, এটা আমরা চাই না। তাই আমরা ফলাফল ঘোষণা করলাম। তাদের পড়াশোনা অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সব বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে আজ শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ ফলাফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী সবপরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান