কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙ্গে দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এতে ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গত ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া পৌরসভার অর্থায়নে বঙ্গবন্ধুর ভাঙ্কর্যটি নির্মান কাজ শুরু করা হয়। নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে। শনিবার সকালে নির্মানকাজে অংশ নেয়া শ্রমিক এসে দেখে ভাস্কর্যটির উল্লেখযোগ্য অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ভাস্কর্যটি উদ্ধোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিলো। রাতের অন্ধকারে দৃর্বৃত্তরা তার ভেঙ্গে ফেলেছে। সারাদেশে মৌলবাদী শক্তি ভাস্কর্য বিরোধী যে অবস্থান নিয়েছে। তারাই জাতির জনকের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ সহ সরকারের সকল এজেন্সিকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, ঘটনাটি রাতের আধারে ঘটেছে। সিসি টিভির ফুটেজ এবং ক্রিমিনাল রেকর্ড যাচাই বাচাই করে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর জেলার সবগুলো ভাস্কর্যে অতিরিক্ত নজরদারি শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কালেক্টরেট চত্বরসহ জেলায় যতগুলো ভাস্কর্য আছে সবগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্বাধীনতার পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহ সাধারণ মানুষ। শনিবার সকালে জাতীয় শ্রমিক লীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে পাঁচ রাস্তার মোড়ে জাতীয় ফুল শাপলার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে পৌরসভা। এরপর থেকে এটি ‘শাপলা চত্বর’ হিসেবে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পৌরসভা বর্তমানে শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করেছে। সেখানে জাতীয় চার নেতার পোট্রেটও থাকবে।