লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধানসহ ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলো— আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সাবেক মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।
রায় ঘোষণার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী খাইরুল ইসলাম লিটন, নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট হয়েছি, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো, আপিল করবো। আনসারুল্লাহ টিমের সঙ্গে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এটা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আনসারুল্লাহ টিমের সাথে আসামিদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্ট ছিলোনা। আদালতে কোন আসামির বিরুদ্ধে এ কথা বলেনি। সাক্ষীরা কেউ বলেনি তারা হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী নেই। মামলাটিতে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকদের সাক্ষী করা হয়নি। শুধু মাত্র তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু, গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছে। আসামিদের অপরাধ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’
গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ ঠিক করেন। মামলাটিতে চার্জশিটভূক্ত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট পলাতক বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।