বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১০:২২ অপরাহ্ন

মামলা নিচ্ছে না পুলিশ, দেখাচ্ছেন ভয়ভীতি

প্রতিবেদকের নাম:
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১

প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলায় পুলিশের লোকজন বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কুড়িগ্রামের ৫ নম্বর চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী কৃষকলীগের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম কাজী। পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ওই কৃষকলীগ নেতা।

বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আমিনুল ইসলাম কাজী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করে ৫ নম্বর চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গয়ছল হক মণ্ডল প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে উল্টো পুলিশকে ম্যানেজ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানাের চেষ্টা চলছে। পুলিশ ওই মামলার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করছে। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে। একারণে চিলমারী ছেড়ে রংপুরে ন্যায় বিচারের আশায় সংবাদ সম্মেলন করছি।

কৃষকলীগ নেতা আমিনুল বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়ে আমি গণসংযোগ শুরু করেছি। গত ২৮ মার্চ রােববার গয়ছল চেয়ারম্যানের ছেলে সোহাগ, সৌরভ, চেয়ারম্যানের ছােটভাই আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ও কর্মী রফিক একত্রিত হয়ে আমার সমর্থক নুরুজ্জামানকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মধ্য রাতে কড়াই বরিশাল বাজারে সার্ভার রুম কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় আমার সমর্থক বাবলু ও সুরুজ্জামান তাদের বাধা দিলে তারা হামলার শিকার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের কুড়িগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সার্ভার রুম ভাংচুরের ঘটনায় প্রতিপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল হক ও সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে ম্যানেজ করে নিজেদের অপরাধ ঘাটতে তড়িঘড়ি করে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় দেড়শ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ওই মামলার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম কাজী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ঘটনায় পরদিন ২৯ মার্চ চিলমারী থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর কয়েকদিন থানায় গিয়ে ঘুরে এসেছি। বিভিন্ন টালবাহানা করে ওসি আমাদের মামলা নেয়নি। এসময় তিনি পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হয়রানিমূলক  মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়া, চিলামারী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সদস্য মাসুদ রানা, হারুনুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, এরশাদুল হক প্রমুখ।

এ ব্যাপারে চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার পর আমিনুল ইসলাম কাজী থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি। আমরা তার কোনো অভিযোগ পাইনি। আমাদেরকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ মিথ্যা। বরং তারা দুইপক্ষ তাদের রাজনৈতিক কোন্দলকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2020 Aplusnews.Live
Design & Development BY Hostitbd.Com

অনুমতি ছাড়া নিউজ কপি দন্ডনীয় অপরাধ। কপি করা যাবে না!!