আটকের ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা কোনো বিক্ষোভ করেননি। কেবল নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত দায়িত্বের কারণে কাউকে অন্যায়ভাবে আটক গ্রহণযোগ্য নয়।
আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ব্যাপক দমন অভিযানের পরও, আবারো রাস্তায় নেমেছে গণতন্ত্রকামীরা। ইয়াঙ্গুন ও দাওয়েয়িতে বিক্ষোভকারীদের দমনে টিয়ার শেল ছোঁড়ে পুলিশ।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যূত্থানের পর থেকে চলমান বিক্ষোভ দমনে শুরু থেকেই কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে ধরপাকড়, নিহত হয়েছে এ পর্যন্ত ১৮ জন।
এদিকে আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। এক ভিডিও কলের মাধ্যমে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং জান্তা সরকারের মধ্যে আলোচনায় উৎসাহ যোগানো হবে। তবে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে এই বৈঠক নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে বলা হয়েছে এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলকারীরা বৈধতা পেতে পারে।
এর আগে সেনা অভ্যুত্থান ও আটকের ২৮ দিন পর, সোমবার প্রথম দেখা যায় মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চিকে। ভিডিও কনফেরেন্সে নেপিদোর আদালতের শুনানিতে যুক্ত হন তিনি। এদিন তার বিরুদ্ধে আরো দুটি অভিযোগ গঠন করা হয়। সু চির পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ মার্চ।