বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৯:২০ অপরাহ্ন

রংপুরেও ‘১০ হাজার টাকার গুজব’! স্কুল-কলেজে ভিড়

প্রতিবেদকের নাম:
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের বিজ্ঞপ্তিতে টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই। নীতিমালা ও শর্ত অনুসারে সবাই আবেদনের যোগ্যও না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে সবাইকে অনুদান দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে।

 

সেই গুজবের রেশ ধরে আজ শনিবার করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের বিজ্ঞপ্তিতে টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই। নীতিমালা ও শর্ত অনুসারে সবাই আবেদনের যোগ্যও না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে সবাইকে অনুদান দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে।

সেই গুজবের রেশ ধরে আজ শনিবার রংপুরের সকল স্কুল—কলেজে প্রত্যয়নপত্র নিতে ভিড় করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের রেশ ধরে চলমান করোনা পরিস্থিতে উপচেপড়া ভিড় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সবাইকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে শঙ্কা দেখা দিযেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাউশির বাজেট শাখা থেকে ১৮ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কত টাকার অনুদান দেওয়া হবে তা উল্লেখ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাউশির ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম অপশনে ক্লিক করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে সবার জন্য সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা বলা নেই। বলা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজের জন্য, শিক্ষক—কর্মচারীরা তাদের দূরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার সহায়তার জন্য এবং শিক্ষার্থী যারা দূরারোগ্য ব্যাধি, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষাগ্রহণ কাজে ব্যয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের এ বিশেষ অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে দুঃস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগগ্রস্ত, গরিব, মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

 

এই অনুদানের আবেদনের সময়সীমা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মাউশি সেই আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে ৭ মার্চ পর্যন্ত। ২৮ ফেব্রুয়ারি সময় বাড়ানোরও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান কভিড—১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, অন্ততপক্ষে 2 হাজার ছাত্র— ছাত্রী ভিড় করেছে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার জন্য। কলেজ ক্যাম্পাস, ক্লাসরুম, একাডেমি ভবনের বারান্দা থেকে শুরু করে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরেও কম্পিউটারের দোকানগুলোতেও প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শ

হরের সবগুলো কম্পিউটারের দোকানগুলোতে ব্যাপক ভিড় ছিল। বিশেষ করে প্রেসক্লাব বিপনী বিতান,কাচারি বাজার,লালবাগ এলাকায় উপচে পড়া ভীড়। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও এসেছেন। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুখে মাস্ক নেই।

 

উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী সাদিয়া তানজীম বলেন, অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেখছি যে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিবে সরকার। বিষয়টা নিয়ে আমার কাছে সন্দেহ হচ্ছে। কারণ সরকার তো পাগল হয় নাই যে দেশের সব শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিবে। তারপরও সবাই আবেদন করতেছে। তাই আমিও করবো। আজকে প্রত্যয়নপত্র নিতে এসেছি।

 

মারিয়া নামের আরেক ছাত্রী বলেন, আমার বন্ধুরা ফেসবুকে দেখেছে যে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিবে আমাদের।

 

রংপুর সরকারি কলেজ, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সমাজকল্যাণবিদ্যাপিঠ,কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ,লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ডকলেজসহ শহরের সবগুলো স্কুল ও কলেজে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় ছিল।

 

এ ছাড়া জেলার বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া উপজেলা পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়েও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2020 Aplusnews.Live
Design & Development BY Hostitbd.Com

অনুমতি ছাড়া নিউজ কপি দন্ডনীয় অপরাধ। কপি করা যাবে না!!