রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নতুন বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দিতে গিয়ে তৌহিদুল ইসলাম বাহাদুর (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সংযোগ কাজের সময় লাইন বন্ধ না করায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে বিদ্যুতের তারে ঝুঁলে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ৪নং কোলকোন্দ ইউনিয়নের কামারপাড়া চারমাথা মাজারের পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাহাদুর একই উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের খলিফাবাজার চৌদ্দমাথা এলাকার টেক্কা মিয়ার ছেলে। সে বিদ্যুৎ লাইনম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহায়তায় বেলা ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় যুবক মিরাজ আব্দুল হাদি জানান, লাইনম্যান বাহাদুর কোমরে বেল্ট পরিহিত অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে সংযোগের কাজ করছিল। আকস্মিক ভাবে তারের উপর জড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে প্রায় দুই ঘণ্টা ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কাজের সময়ে বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইন বন্ধ করা ছিল না। এই ভুলের কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় অকালে বাহাদুরের মৃত্যু হয়েছে।
এব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ (গঙ্গাচড়া) এর এজিএম প্রমদ কুমার দে জানান, ওই এলাকায় বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপনের কাজ পায় মেসার্স নাহার কন্সট্রাকসন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইনম্যান তৌহিদুল ইসলাম বাহাদুর সোমবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ করছিলেন।
পল্লীবিদ্যুতের সুভারভাইজার ফজলু মিয়া লাইন চালু করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই লাইনম্যান। সুপারভাইজার ফজলু মিয়ার দায়িত্ব অবহেলার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।