আরপিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন সমাজে আজ একটি তের সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে উত্তরণ করতে চাইলে শুধুমাত্র পুলিশই নয়, সেবা গ্রহণকারী ও সেবা প্রদানকারী সকলকে এক হয়ে কাজ করতেহবে। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই আমরা আমাদের মায়েদের-নারীদের সুরা নিশ্চিত করতে পারব। শনিবার সকালে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয় সেখানে নারীর সংখ্যাটা বেশি হয়। এই ভাবে আমাদের দেশের নারীদের সামনে নিয়ে আসার তাদেরকে নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করছে।
রংপুর নগরীর রামপুরা এলাকায় কোতয়ালী থানা ৫নং বিট পুলিশিং এর উদ্যোগে সমাবেশে ৫নং বিট পুলিশিং এর সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আরপিএমপি কোতয়ালী থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম রফিক, ৫নং বিট পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহিম, রামপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক য়জলার রহমান দুলাল, নারী প্রতিনিধি নারগিস পারভিন ও রেবা খাতুন প্রমুখ।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, নারীদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের দেশের নারীরা যেনো সুরক্ষা পায়। কোন ধরণের ক্ষতি না হয় সেজন্য এই আইন করেছে সরকার। যে ধর্ষণ করবে তার সর্বচ্চ শস্তি মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করা হয়েছে। যারা এসকল অপরাধের সাথে জড়িত। তরুণ যুবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার ভালো হয়ে যান। আমার মা বোনের উপওে যদিআবার জুলুম করেন। ধর্ষণ করেন তাহলে আপনার শাস্তি মৃত্যুদন্ড হবে। প্রত্যেকটি সমাবেশ স্থলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী পোস্টার, লিফলেট, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। সমাবেশে জনসাধারণকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, রংপুরের ৫৫ টি বিটে একযোগে নারী নির্যাতন ও ধষর্ণ বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।