হামলা-নির্যাতন শঙ্কায় সর্বশান্ত একটি পরিবার। প্রতিপক্ষের রোষানল থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের স্মরনাপন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটি ঘটেছে হারাগাছ সারাই দর্জি পাড়া এলাকায়।
জানা গেছে, হারাগাছ সারাই দর্জিপাড়া এলাকার মৃত আনিছার রহমানের পরিবারের সাথে প্রতিবেশি রমজান আলী জিকু গংয়ের বিরোধ চলে আসছিল। রমজান আলী জিকু বিড়ি তৈরির কারখানায় অবাধে তামাক, গদ্দা মিশ্রন করার ফলে বিষাক্ত গন্ধ মানবদেহের ক্ষতিসাধন করে থাকে। তার মালিকানা কারখানায় ব্যবহৃত তামাক, গদ্দা’র গন্ধ হওয়ার ঘটনায় বারং বার তাদের বাধা-নিষেধ করলেও কোন কর্ণপাত করেননি সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষ। কারখানার বিষাক্ত গন্ধের ফলে প্রতিবেশি মানুষজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয় লোকজন জিকু’র কর্মকা-ে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এরই মধ্যে ওই ঘটনায় বাধা-নিষেধ করার জের ধরে গত শুক্রবার গভির রাতে মৃত আনিছার রহমান পরিবারের বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুড়ে প্রতিপক্ষ। এসময় ইটপাটকেলের আঘাত প্রাপ্ত হয় মাজেদা বেগম নামের একজন গৃহীনি। এছাড়াও হামলাকারিরা অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলা ছাড়াও ঘরবাড়ি ভাংচুড় করে জীবননাশের হুমকি দেয় প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় মৃত আনিছার রহমানের পুত্রবধু সাজেদা বেগম ছন্দা গতকাল শনিবার আরপিএমপি’র হারাগাছ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে, সাজেদা বেগম ছন্দা বলেন, জিকুগং আমাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। এরই জের ধরে বাড়িঘরে হামলা-আমাদের উপর নির্যাতন চালাতে পরিকল্পিতভাবে রাতে ঢেলা-ঢেলি ও ঘরবাড়ি ভাংচুড় করে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সেজন্যে আমরা আইনের আশ্রয় পেতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
অপরদিকে, একই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, জিকুগংয়ের রোষানল ভয়ানক হয়ে উঠছে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থা’র যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হলে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন আইন-প্রয়োগ সংস্থার নজরদারি।