রংপুর মহানগরিতে ১৫৮টি পূজা মন্ডপ স্থাপন করা হয়েছে হিন্দু সম্প্রদয়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা (১ সেপ্টেম্বর) শনিবার ষষ্টির মধ্য দিয়ে এ পূজার আনুষ্ঠিকতা শুরু সন্ধায় বেল বরণ, রাতে প্রতিমা স্থাপন করা হয়। আজ রোববার সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দেবী মহামায়া মত্তলোকে আছেন অশুভ শক্তিকে বিনাশ ও দেশ ও সমাজের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এর আগে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গা শব্দের অর্থ হল ব্যুহ বা আবদ্ধ স্থান। যা কিছু দুঃখ কষ্ট মানুষকে আবদ্ধ করে যেমন বাধা বিঘœ, ভয় দুঃখ, শোক, জালা, যন্ত্রনা, এসব থেকে তিনি ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকায়রা দুর্গার নামের অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সবক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দুর করেন। হিন্দু পূরাণ মতে দুর্গা পূজার সঠিক সময় হল বসন্তকাল কিন্তু বিপাকে পরে রামচন্দ্র রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন।
সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া সত্বেও শরত কালে দুর্গা পূজা প্রচালিত হয়ে আচ্ছে। ঢাকার রামকৃঞœ মঠ ও রামকৃঞœ মিশনের হরি প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার গজে (হাতী) তে চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। একে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শষ্য এবং ফলন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিতে কৈলাশে (স্বর্গ) বিদায় নিবেন নৈকায় চড়ে যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে। এদিকে পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে রংপুর ব্যপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে হয়েছে।
রংপুর মহনগর ৩৩ টি ওয়ার্ড ও ৬টি মেট্রো থানায় ১৫৮টি শারদীয় দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান প্রধান পূজা মন্ডপগুলো হচ্ছে করুণাময়ী কালীবাড়ি, ধর্মসভা,ক্ষত্রিয় সমিতি, লক্ষী নারায়ণ জিউ মন্দির, সদর হাসপাতাল হরিজন সমিতি, পালপাড়া, মুলাটোল, কামারপাড়া, লালবাগ, ঠিকাদার পাড়া, আনন্দময়ী সেবা আশ্রম, লালবাগ হাট, মর্ডান মোড়, এরশাদ নগর, তাজহাট,ডিমলা, স্টেশন কালী বাড়ী, গুপ্তপাড়া, দক্ষীণ গুপ্তপাড়া, বৈরাগী পাড়া, পর্যটন মোড়, মাহিগঞ্জ পরেশনাথ মন্দির, রামকৃঞœ মিশন, রংপুর কলেজ, এরশাদ নগর সহ মোট ১৫৮টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সপ্তমী আগামী কাল মহা অষ্টমী মাহিগঞ্জ রামকৃঞœ আশ্রমে সকালে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন স্থানের ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন, সন্ধায় আরতি প্রতিযোগীতা এ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে পূজার মেলা বসেছে। প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৫ অক্টবর প্রতিমা বির্সজনের মধ্যদিয়ে ৫ দিন ব্যপি পূজার সমাপ্ত হবে।