রংপুরের ক্রিকেটে যেটুকু অর্জন তার সবই ক্রিকেট গার্ডেনকে ঘিরেই। জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলাসহ স্থানীয় ও বয়সভিত্তিক বিভিন্ন খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তার চেয়ে বড় যে কাজটি এখানে হচ্ছে, তা হলো এই মাঠে অনুশীলন করে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের সব ক্রিকেটার। কিন্তু অভাব ছিল এর সুরক্ষা, ভালো ইউকেট, ড্রেসিংরুম, ইনডোর অনুশীলন সুবিধা, জিমসহ প্রায় সবকিছুরই
ক্রিকেটাররা জানান, বৃষ্টি হলে প্র্যাকটিস করা যায় না। যদি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি হয় তাহলে ভালোভাবে প্র্যাকটিস করা যাবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাবনা অনুযায়ী জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি হয়েছে। চুক্তির আওতায় রংপুরের ক্রিকেটের উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে মহাপরিকল্পনা। এরই মধ্যে ফেনসিংয়ের কাজও শুরু হয়েছে।
রংপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মূল যে স্টেডিয়াম, সেখানে জিমনেশিয়াম ভবন ছিল; সেটি খুব দ্রুতই আমরা ভেঙে ফেলব। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর স্টেডিয়াম বানানো হবে।
এদিকে ক্রিকেট একাডেমিগুলোর জন্য অফিস ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে শেষ হয়েছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। জেলা ক্রীড়া সংস্থা জেলা প্রশাসক ও সভাপতি আসিব আহসান বলেন, অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছি সেখানে কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচের পিচ হবে এবং জিমনেশিয়াম হবে। সেই সঙ্গে একটি পরিপূর্ণ একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কাজ চলছে।
১৯৯৯ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ভেন্যু হিসেবে এই মাঠটি নির্বাচিত হওয়ার পর একে ঘিরে স্থানীয় ক্রীড়ামোদীরা যে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল, তারই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
(ডিআরবি)