প্রায় ১ বছরেও রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ বিরাজ করছে। জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হলেও মহানগর কমিটি চালাচ্ছে শুধু সভাপতি ও সম্পাদক। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাতে টাউন হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আগের সভাপতি ও সম্পাদককেই বহাল রাখা হয়। জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রেজাউল করিম রাজুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া মহানগরে সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফিকে সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করা হয়। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জকামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুনশি এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আখতার প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানাগেছে সে সময় কয়েকটি পদের নাম ঘোষনা দেয়া হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠায়। কিন্তু আজ অবধি ওই কমিটি কেন্দ্র থেকে পাশ হয়ে আসেনি। অপরদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা হয়। বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগ চালাচ্ছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনে মিলে। দীর্ঘ ১০ মাস পেরিয়ে গেলও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় তৃনমূল নেতৃকর্মীদেরও মাঝে ক্ষোভ জমাট বাধছে বলে একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার পরপরই আমরা ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঢাকা পাঠিয়েছি। কিন্তু ওই কমিটি এখন পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি। এদিকে মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের স্বার্থে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জরুরী। তিনি বলেন খুবদ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।