রংপুর নগরীর প্রাণ কেন্দ্রের উত্তর দিকেই রয়েছে চিকলি বিল। এই বিলের পাশের পার্কটি হতে পারে পর্যটনের অন্যতম স্থান। তবে যথাযথ উদ্যোগের জন্য চিকলি বিল দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে পারছেনা।
সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বলেছেন চিকলি বিলের পার্ককে ঘিরে বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী বিনোদনের জন্য এখানে ছুটে আসবে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানাগেছে, ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখ প্রয়াত সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু কয়েক কোটি টাকয় ব্যয়ে বিলের চারপাশে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রায় ১০০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় রংপুরের চিকলী পার্ক। স্থাপন করা হয় বেশকিছু রাইডার। প্রথম দিকে বিনোদন প্রেমিদের ভীড় থাকলেও আকর্ষণীয় রাইডারগুলো অকেজ হয়ে পড়ায় এখন আর দর্শনার্থী টানতে পারছেনা বিলের পাশে গড়ে ওঠা পার্কটি।
শীতকালে পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর থাকে বিল। শহরের মধ্যে হলেও কোলাহলমুক্ত এই বিলটি মানুষকে আকর্ষন করে। বিকেল হলে অনেকেই বিলের চারপাশে একটু নির্মল বাতাসের জন্য ঘুরে ড়োয়। কিন্তু পার্ককে ঘিরে নেয়া পরিকল্পনা সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় এটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে পারছেনা।
পার্কটি যখন স্থাপন করা হয় তখন শিশুদের বিদ্যুৎ চালিত নাগরদোলা, ঘুর্ণি দোলনা, সাজোয়া যান, গাড়ি, মেরিগোল্ডসহ বেশকিছু আকর্ষনীয় রাইডার যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলো দীর্ঘদিন অকেজ অবস্থায় পড়ে আছে। পার্কে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা ট্রেন লাইন দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে চিকলী বিল পার্কটি আধুনিকায়ন করা হলে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষের ভীড় যেমন বাড়বে তেমনি সিটি করপোরেশনের আয়ও বাড়বে। তবে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্যাডেল বোট চালু করেও দর্শনার্থী টানতে পারছেনা পার্কটি।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহামুুদুর রহমান টিটু জানান, চিকলি পার্ককে ঘিরে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সুইমিং পুলের কাজ চলছে। নষ্ট রাইডারগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত এটিকে আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।