রংপুর সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত বাজেট (২০-২১) জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করেনি। এমনটাই দাবি করেছেন মহানগর উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় পরিবার পরিকল্পনা অফিস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মহানগর উন্নয়ন ফোরামের উপদেষ্টা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকর তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, বর্তমান মেয়রের প্রথম বাজেট ছিল ১ হাজার ৬০০ কোটি আর ৩য় বাজেট ৮৮৯ কোটি টাকা।
রংপুর মহানগরের ৩৩টি ওয়ার্ড ও ৬টা থানার প্রায় ১২ লাখ জনগণের জীবনমানের বাজেট এত ক্ষুদ্র হতে পারেনা। ঘোষিত বাজেট জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করতে পারবে না। এই বাজেট রংপুর সিটি করপোরেশনের দুর্বলতাকেই জানান দিয়েছে কারণ দুর্নীতিতে পর্যুদুস্ত এই সিটি কর্তৃপক্ষ কখনোই জনগনের কল্যান বয়ে আনতে পারে না। ৮৮৯কোটি টাকার বাজেটটির আয় ও ব্যয়ে অসঙ্গতিপূর্ণ। বাজেটে সিটি করপোরেশনের আয় দেখানো হয়েছে ৮৮ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৫৪০ টাকা।
অন্যদিকে জাইকা’সহ বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা থেকে ৮০১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে ধরে নিয়ে ৮৮৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রস্তবিত বাজেটে রাজস্ব তহবিল হতে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা, শিক্ষা খাতে ৭০ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা, পানি সরবরাহ খাতে ২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এছাড়া, অন্যান্য খাতে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত উন্নয়ন হিসাবে স্থানান্তর ৫ কোটি টাকা এবং সমাপনী স্থিতি ১০ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৫৪০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এই বাজেট জনকল্যাণে আসবে না বরং ভোগান্তি বাড়াবে বলে দাবি করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর উন্নয়ন ফোরামের উপদেষ্ঠা নিধুরাম অধীকারী, সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ স্পাদক ফিরোজ কাওছান মামুন, সহ সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জিলানী, শফিক ইসলাম শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল ইসলাম ফেরদৌস, ওয়েদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক মিয়া মাহফুজ সুজন, প্রচার সম্পাদক সুজিত কুমার রায় প্রমুখ।