শুক্রবার দেশের আকাশে কোথাও ১৪৪২ হিজরি সালের রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আজ জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হলো এবং কাল রোববার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ মার্চ (২৬ রজব) রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী। সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম, ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুব আলম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. আলমগীর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ^নবী মোহাম্মদের (সা.) জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মেরাজ’। নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন তিনি। সেখানে আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টিজগতের সবকিছুর অপার রহস্য। হজরত মোহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ জন্য মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে মেরাজের তাৎপর্য অনেক গুরুত্ব বহন করে।