বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এবং দেহরক্ষীর একবছরের কারাদন্ড

প্রতিবেদকের নাম:
  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে এক বছর করে জেল দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে দুজনকে।

 

এর আগে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, বিদেশি মদ, অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল প্রভৃতি উদ্ধার করেছে র‌্যাবের আভিযানিক দল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত ৩৮টি কালো ওয়াকিটকিসহ বিপুলসংখ্যক ওয়্যারলেস সামগ্রী দেখে র‌্যাব কর্মকর্তারা ধারণা করছেন এই অবৈধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান সেলিম।

 

আজ সোমবার বিকেলে অভিযানের এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের চাঁন সরদার দাদার বাড়ির ভিতরে সাংবাদিকদের নিয়ে গেলে উদ্ধার এসব অস্ত্র-মাদক ও নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখা যায়।

অভিযানে অংশগ্রহণকারী র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেন, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মধ্যে রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদ ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।

 

এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি ঘরে বসেই পুরো পুরান ঢাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন বলে অভিমত র‌্যাব কর্মকর্তাদের।

 

এর আগে সোমবার ভোরে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলবো’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2020 Aplusnews.Live
Design & Development BY Hostitbd.Com

অনুমতি ছাড়া নিউজ কপি দন্ডনীয় অপরাধ। কপি করা যাবে না!!