রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হারুন অর রশিদ সোহেলের পিতা এবং বাংলাদেশ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভূক্তিকরণ আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা নুরুল আবসার দুলালের (৫৫) জানাযা ও দাফন কার্যক্রম সোমবার বাদ আসর সম্পন্ন হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ২ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সোমবার রংপুর মহানগরীর আরাজী তামপাট পূর্ব পাড়া জামে মসজিদ মাঠে বাদ জোহর তার নামাজে জানাযা শেষে মসিজদের পাশে বাবামায়ের কবরের পাশে তাক শায়িত করা হয়। জানাযায় ইমামতি করেন ঐতিহ্যবাহি বড় রংপুর কারামতিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আজিজ। তার নামাজে জানাযা ও দাফন কার্যে রংপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকার এবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ী আত্মীয় স্বজনরা অংশ নেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানসহ হাজার হাজার সহকর্মী রেখে মারা যান।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, সাবেক প্যানেল মেয়র আবুল কাশেম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর সাংবাদিক কল্যান সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শফিউল করিম শফিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সভাপতি জাহিদ হোসেন লুসিড, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের ৩ রা মার্চ তিরি আরাজী তামপাট এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্ম গ্রহন করেন। বড় রংপুর কামিল মাদরাসা থেকে ইসলামি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে সামজিক ও ইসলামিক শিক্ষা সম্প্রসারণে অংশ নেন। তিনি ছিলেন আরাজি তামপাট পুর্ব পাড়া জামে মসজিদ. ঈদগাহ মাঠ ও মক্তবের প্রতিষ্ঠাতা। ছিলেন এই মসজিদের সাবেক ইমাম। এছাড়াও তিনি ছিলেন আরাজি তামপাট পুড়ানতন কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব, জিয়াতপুকুর দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গঙ্গাচড়ার মৌভাষা অটিজম ও বৃদ্ধিপ্রতিবন্ধি স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, রংপুর জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আরাজিমন খামার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, মুন্সিপাড়া মাওলানা কেরামত আলী একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ এবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সহ সভাপতি। এর মাধ্যমে তিনি এবতেদায়ী মাদরাসাকে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সমমানের জন্য দেশব্যপি আন্দোলন গড়ে তোলেন। মৃত্যুর সময় তিনি বাংলাদেশ এমপিওভূক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদারাসা শিক্ষক সমিতির রংপুর বিভাগীয় ও জেলা সভাপতি, জমিয়াতুল মুদাররেসিন রংপুর মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদি ওলামাদলের মহানগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন হারাগাছ সোনারচান দাখিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক, আরাজি তামপাট একরামিয়া এবতেদায়ী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক।