শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ২টার পর তাকে আদালতে তোলা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে দিহান। এর আগে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিহানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা ফরেনসিক প্রতিবেদনের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান। শুক্রবার দুপুরে, রাজধানীর সেগুনবাগিচাতে ক্রাইম রিপোটার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে অতিরজ্ঞিত তথ্য প্রকাশ না করারও আহ্বান জানান ডিসি।
এর আগে, নিহত স্কুলছাত্রীর বাবা এ ঘটনাকে ধর্ষণ হিসেবে এজাহারে দাবি করলেও পুলিশ জানায় তদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এ ঘটনায় আটক ফারদিন মেয়েটির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন আনুশকা। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। পরে দিহানসহ চার বন্ধু ওই আনুশকাকে অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডির মডার্ন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকালে হাসপাতালে মেয়েটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
চিকিৎসকরা জানান, আনুশকার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফারদিনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ফারদিনের আরো তিন বন্ধুকে।
বৃহস্পতিবার কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুরদাস মালু জানিয়েছিলেন, ওই কিশোর-কিশোরীর ‘দৈহিক সম্পর্ক’ হওয়ার বিষয়টি তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি জানান, ওই বাসা থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। যেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় ফারদিনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করা হয়েছে কলাবাগান থানায়। তবে ফারদিনের দাবি, নিহত অর্পার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।