হেফাজতে ইসলাম সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে। তবে রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে দেখা যায়, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মোড়ে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে ব্যাপক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ মার্চ) হরতালের দিন ঢাকাসহ সারা দেশে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দেয় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এর ফলে কোথাও হরতালের প্রভাব দেখা যায়নি। পল্টন, শাহবাগ, গুলিস্তান, ফার্মগেট, মিরপুর, আজিমপুর, মিরসপুরসহ সবখানে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা যায়।
রাস্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া স্বাভাবিকভাবে চলছে সবকিছু। রাজধানীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেফাজত। এসব কর্মসূচি থেকে আজকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফলে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান হয়েছে। একইসাথে হরতালে বাধা দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
গত ২৬ মার্চ ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। বিকেল পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে হেফাজতে ইসলামের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও বহু আহত হয়। ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে হেফাজতের আরেক কর্মী নিহত হন। এর প্রতিবাদে গতকাল সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে হেফাজত। এ ছাড়া আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি চলছে। হরতালে সমর্থন দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কিছু ইসলামি রাজনৈতিক দল।