একশ’ ২০ টাকা থেকে বেড়ে চা শ্রমিকদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণের এক ঘণ্টার মধ্যে শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে ফের মৌলভীবাজারের ৯২টিসহ দেশের ১৬৭ চা বাগানে তিনশ’ টাকা মজুরি দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
এদিকে ২১ আগস্ট পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চা শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক রাজদেব কৈরী ও যুগ্মআহ্বায়ক শ্যামল অলমিক দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির সময়ে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে একজন শ্রমিকের কিছু হয় না। সেখানে পারিবারিক খরচ চালানো দুঃসাধ্য।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, শনিবার বিকেলে চাপের মধ্যে ফেলে মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকার প্রস্তাবে রাজি করিয়ে কর্মবিরতি স্থগিতে ঘোষণা দেওয়ানো হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে এ আলোচনা হয়।
তিনি আরও জানান, সেখান থেকে উঠে সাধারণ শ্রমিকদের সামনে যাওয়ার পর তারা মজুরি ১৪৫ টাকা প্রত্যাখ্যান করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড় অবস্থানে থাকেন। রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় মৌলভীবাজারের ৯২টি বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। এরপরও কুলাউড়ার একটি বাগানের চা শ্রমিকরা রোববার দুপুর ১-২টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সাবেক চিফ হুইফ উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ মোবাইল ফোনে রোববার বিকেলে বলেন, চা শ্রমিকদের সাথে গত শনিবার বিকেলে মজুরি সংক্রান্ত বিষয়ে দৈনিক ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তাহলে নতুন আর কী উদ্যোগ নেওয়ার আছে?