৩০ লাখ জনসংখ্যার ইজমিরে আবাসিক ভবন ও বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আক্রান্ত এলাকায়। অধিকাংশ মানুষের আশ্রয় খোলা আকাশের নিচে। অনেকেই পার্কসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ৬ দশমিক দুই মাত্রার আফটার শকের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
বলেন, আমাদের পাশের বাড়িঘর একেবারে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তবে আফটার শকের কারণে আমাদের ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে। সরকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করার পর হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব আমরা কোথায় যাবো।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটেছে ইজমির প্রদেশে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভূমিকম্পের সময়ের বিভিন্ন চিত্রে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা অনুমান করা যায়।
একইসময়ে গ্রিসের স্যামোস দ্বীপেও ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের প্রভাবে ইজিয়ান আইল্যান্ডে ছোটখাট একটি সুনামিও আঘাত হানে। ভবন ধসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
তুরস্ক ও গ্রিসের উপকূলীয় ইজিয়ানে ভূমিকম্প আঘাতের পর হতাহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। একইসঙ্গে সঙ্কট মোকাবিলায় গ্রিসকে নিয়ে যৌথভাবে ভূমিকম্প পরবর্তী পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন তিনি।