জুয়েলকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার,পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্য বন্ধ ও পরিবারকে ক্ষতিপুর প্রদান সহ ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত স্বজন ও এলাকাবাসি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে কোরান অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার, পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্য বন্ধ ও পরিবারকে ক্ষতিপুর প্রদান সহ ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত জুয়েলের স্ত্রী ও বোন সহ স্বজনরা এবং এলাকাবাসি।
শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর শালবন এলাকায় নিহত জুয়েলের বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকাবাসির পক্ষে সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি। লিখিত অভিযোগে বলা হয় গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারীতে কোরান অবমাননার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শুধু তাই নয় তার লাশ পুড়িয়ে ভস্মিভুত করা হয়েছে। একটি সভ্য সমাজে আর গনতান্ত্রিক ও আইনের শাসনের দেশে এরকম ঘটনা বিস্ময়কর অভাবনীয় ও উদ্বেগজনক। ওই ঘটনার সময় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহিকর্মকর্তা ,থানার ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকলেও তারা মানুষ রুপি পশুদের নিবৃত করতে পারেননি। বরং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উস্কানী মুলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করেছে। অপরদিকে সেখানকার ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জুয়েলের শার্টের কলার ধরে টেনে হেচড়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করাহয়।
ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকীদের গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। বরং নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়ানো দেখাচ্ছে পুলিশ। শুধু তাই নয় পুলিশ স্থানীয় বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে লাখ লাখ টাকা দাবি করছে টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনাকে নিয়ে পুলিশ গ্রেফতার বানিজ্য করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবি পেশ করা হয় এ গুলো হলো জুয়েলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার মুক্তাকে একটি সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ প্রদান, হত্যাকারী খুনিরা যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদের গ্রেফতারে চলমান প্রক্রিয়া জোরদার করা , জুয়েল হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে সম্পন্ন করা এব্ধসঢ়;ং ন্যায় বিচারের স্বার্থে জুয়েল হত্যার মামলাটি রংপুরে স্থানান্তরিত করা। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসির পক্ষে বক্তব্য দেন জোবায়দুল
ইসলাম বুলেট এ্যাডভোকেট ও অলক নাথ, রাশেদ মাহাবুব জুয়েল, মিনহাজুল নান্নু, নিহত জুয়েলের বড় বোন লিপি স্ত্রী জেসমিন আখতার, নিহত জুয়েলে স্ত্রী জেসমিন আক্তার মুক্তা। উপস্থিত ছিলেন নিহত জুয়েলের দুই পুত্র ও কন্যাসহ
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।