অপরিনত শিশুর জীবন বাঁচাতে, একসাথে করি কাজ আগামীর পথে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুর সিভিল সার্জন এর আয়োজনে ও ল্যাম্ব-বর্ন অন টাইমপ্রজেক্ট সহযোগিতায় বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস এর র্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি বছর সারাবিশ্বে এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ অপরিণত শিশূ জন্ম গ্রহণ করে অর্থাৎ প্রায় প্রতি দশ জনে একজন অপরিণত
শিশুজন্ম নেয়। এরমধ্যে এক লক্ষশিশূ জন্মের পরপরই মৃত্যুবরন করে।
বিগত ২০০৮ সাল থেকে সারাবিশ্বে ১৭ নভেম্বর অপরিণত শিশুদিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সংখ্যার বিচারে বেশিসংখ্যক অপরিণত শিশুজন্ম হয় এমন ১০টি দেশেরমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানসপ্তম।নবজাতক সহ শিশুমৃত্যর প্রধান
কারণ অপরিণত শিশু জন্মের জটিলতা।বাংলাদেশে শতকরা ৭৫ভাগ নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান তিনটি কারন হল-অপরিণত শিশুজন্ম জনিতজটিলতা, গর্ভকালীন সময়ের জটিলতা যেমন-শ্বাসরুদ্ধতা এবং সংক্রমন। অপরিণত শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমান সরকার অত্যন্তসচেষ্ট।এ লক্ষ্যে বর্ন অন টাইম প্রকল্পটি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর কারিগরিসহায় তায়ল্যাম্ব কর্তৃক রংপুর
জেলার ৬টি উপজেলায় (মিঠপুকুর, পিরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গংগাচড়া, কাউনিয় ও পীরগাছা) ২০১৬
সাল থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ প্রকল্পটিতে গ্লোবাল আ্যফেয়ার্স কানাডা এবং জনসন এ্যান্ড জনসন এর আর্থিক সহায়তা প্রদানকরছে। বাংলাদেশ ছাড়াও আরো দুটি দেশ মালি ও ইথিওপিয়াতে একই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অতিথি ছিলেন রংপুর সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায়, রংপুর পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডাঃ শেখ মোঃসাইদুল ইসলাম, ডিপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহা, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ ঋষিকেশ সরকার।